সিলেটে ঝড়সহ শিলা বৃষ্টি
- আপডেট সময় : ০৫:২৫:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ এপ্রিল ২০২৪
- / ৭০ বার পড়া হয়েছে
পবিত্র মাহে রমজানে দেশে আবহাওয়ার তাপমাত্রা বেশ সহনশীল রয়েছে। তেমন কোন বড় ঝড় বৃষ্টি হয়নি। তবে এবার সিলেটের কালবৈশাখী ঝড়ের সাথে শিলাবৃষ্টি হয়েছে। সিলেটে শিলাবৃষ্টিতে এক একটি শিলার ওজন ছিল প্রায় আধা কেজি। তাহলে বুঝতেই পারছেন কতটা ভয়ানক ছিল এই শিলাবৃষ্টি।
গত রবিবার রাত ১০ টার পর থেকে সিলেটের বিভিন্ন অঞ্চলে কালবৈশাখী ঝড় ও বৃষ্টির খবর পাওয়া যায়। এত ভয়াবহ শিলাবৃষ্টি হওয়ার পর থেকে চারিদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়তে থাকে। এরকম শিলাবৃষ্টি দেশের মানুষ আগে কখনো দেখেনি। সিলেটে বসবাসরত মানুষেরা জানান বৃষ্টির কারণে তাদের টিনের ঘর ফুটো হয়ে যাচ্ছিল। আমার চোখের সামনেই বড় বড় শিল পড়তে থাকে। বৃষ্টি কমলে আমি একটি শিল হাতে নিয়ে দেখি সেটির ওজন প্রায় আধা কেজির বেশি হবে।
প্রায় ১৫ মিনিট ধরে চলতে থাকা এই কালবৈশাখী ঝড়ে অসংখ্য মানুষের বাসাবাড়ি ফসল ইত্যাদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ সজীব হুসেন বলেন, এ সময়ে ঝড়ের সাথে শিল পরাকে আমরা কালবৈশাখী ঝড় বলে থাকি।
সিলেটে ঝড়সহ শিলা বৃষ্টি
সিলেটের শিলাবৃষ্টিতে সিলেটসহ সুনামগঞ্জের সড়ক যোগাযোগ বিঘ্নিত হয়েছে এবং অনেক এলাকার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তাছাড়া আকাশ থেকে পরা এত বড় বড় শিলের আঘাতে এখন পর্যন্ত প্রায় চারজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। যাদের গাড়ি বাহিরে ছিল তাদের বেশিরভাগই গাড়ির কাঁচ ভেঙে গেছে। সব মিলিয়ে সিলেট অধিবাসীদের কেউ না কেউ বিভিন্নভাবে এই শিলাবৃষ্টি দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
শিলাবৃষ্টির ভয়াবহতা বর্ণনা করতে গিয়ে এলাকার এক দোকানদার বলেন, আমার বয়স ৫০ বছরের বেশি। আমার জীবনে আমি কখনো এত ভয়াবহ এবং বড় শিলাবৃষ্টি দেখি নাই। শিলাবৃষ্টিতে এখানে অনেকের মাথাও ফেটে গেছে।
এ ব্যাপারে রায় নগরের এক মহিলা বলেন, বৃষ্টির সাথে পরা এক একটা শিলকে যেন পাথরের মত মনে হচ্ছিল। বৃষ্টিসহ ঝরের কারণে এক অটোরিক্সার ওপর গাছ পড়ে এক মহিলা আহত হয়েছে। তিনি ঐদিন মার্কেট করতে বেরিয়েছিলেন। এদিকে অতিরিক্ত শীল পড়ার কারণে সিলেটে এবার ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি দেখা দিতে পারে বলে সবার আশঙ্কা।
সিলেটের শিলাবৃষ্টিতে ঘটে যাওয়া বিশৃঙ্খলা নিয়ে কাজ করছে কর্তৃপক্ষ। শিলাবৃষ্টির সাথে কালবৈশাখী ঝড় থাকার কারণে যোগাযোগ ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বেশ ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। তবে অতি দ্রুতই সেগুলো নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে।