হলমার্ক কেলেঙ্কারি সোনালী ব্যাংকের অসৎ ৭ কর্মকর্তাকে ১৭ বছর করে কারাদণ্ড
- আপডেট সময় : ০৭:১৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ মার্চ ২০২৪
- / ৫৮ বার পড়া হয়েছে
বহুল সমালোচিত সেই হলমার্ক কেলেঙ্কারির কথা আমরা সবাই শুনেছি। গতকাল সেই মামলার রায় হয়েছে। গত ১৯ মার্চ মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে বিচারক মোঃ আবুল কাশেম এই রায় ঘোষণা করেন।
দুদকের করা মামলায় আদালতের এই রায়ে প্রতিষ্ঠানটির এমডি মোহাম্মদ তানভীর মাহমুদ ও তার স্ত্রী গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। তাছাড়া এর সাথে জড়িত আরো ৯ জনকে যাবজ্জীবনসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন যে, তাদের যে অপরাধের মাত্রা তাতে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু এই অপরাধ সম্পৃক্ত আইনে তাদের সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন দেওয়া হয়েছে।
২০১২ সালে হলমার্ক গ্রুপের মালিক সোনালী ব্যাংক থেকে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করে। তার পরিপ্রেক্ষিতে দুদক হলমার্ক গ্রুপের মালিক, কর্মকর্তা ও সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ১১ টি মামলা করে। তবে আজকে শুধুমাত্র ১ টি মামলার রায় হয়েছে।
হলমার্ক কেলেঙ্কারি সোনালী ব্যাংকের অসৎ ৭ কর্মকর্তা
আদালতের রায় সোনালী ব্যাংকের অসৎ ৭ কর্মকর্তাকে ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। মামলার অভিযোগ হতে জানা যায়, ২০১২ সালে ভুয়া স্পিনিং মিলের নামে ৫২৫ কোটি ৬২ লাখ ৯২ হাজার ৮০০ টাকা মূল্যের সুতার রপ্তানি করা হয় বলে কাগজে দেখানো হয়। আবার ওই রপ্তানিকৃত সুতার টাকা থেকে ১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা সমালোচিত হলমার্ক গ্রুপের অন্য একটি ভুয়া প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তর করা হয়। তা থেকে হলমার্ক গ্রুপের এমডি ও তার স্ত্রী হলমার্ক গ্রুপের চেয়ারম্যান টাকাগুলো তুলে নেন।
ঠিক এভাবেই ভুয়া রপ্তানির নামে তারা টাকা আত্মসাৎ করতে থাকে। এদের সাথে ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জড়িত ছিল। আসামিদের এই প্রতারণা, জালিয়াতি, অর্থ আত্মসাৎ ও ক্ষমতার অপব্যবহার ইত্যাদির কারণে দুদক রাজধানীর রমনা থানায় মামলা করেন।
হলমার্ক কেলেঙ্কারি বাংলাদেশের ব্যাংকের ইতিহাসে একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা। আদালতের রায় শোনার পর প্রধান দুই আসামী অনেকক্ষণ মাথায় হাত দিয়ে স্তম্ভিত হয়েছিলেন। বলতে পারেন নি কোন কথা।