ঢাকা ০৭:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪, ১০ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নতুন সরকারি চাকরিজীবীরা আর পেনশন পাবেন না!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:৩২:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ মার্চ ২০২৪
  • / ৩২ বার পড়া হয়েছে

নতুন সরকারি চাকরিজীবীরা আর পেনশন পাবেন না!

নতুন সরকারি চাকরিজীবীরা আগের মত আর পেনশন সুবিধা পাবে না। সম্প্রতি এমনটাই ঘোষণা দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ। চলতি বছরের পহেলা জুলাইয়ের পর থেকে যারা সরকারি চাকরিতে যোগদান করবেন তারা আর আগের মতন অবসরের পর পেনশন সুবিধা ভোগ করতে পারবেন না।

রাষ্ট্রায়ত্ত, স্বশাসিত, সংবিধিবদ্ধ, স্বায়ত্বশাসিত বা তাদের অঙ্গ প্রতিষ্ঠানে ২০২৪ সালের ১ জুলাইয়ের পর থেকে যারা যোগদান করবেন তাদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য।

কিন্তু তারা কি একেবারেই এই পেনশন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে?

অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, সকল সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারীরা এখন থেকে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতাভুক্ত হবেন। আমরা জানি বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্য সর্বজনীন পেনশন স্কিম সেবা চালু করেছে।

সরকারি কর্মচারীরা আগে সাধারণ ভবিষ্যৎ তহবিল (জিপিএফ) এবং প্রদেয় ভবিষ্যৎ তহবিল (সিপিএফ) এ টাকা জমা রাখত। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এই টাকার উপর ১১-১৩% পর্যন্ত সুদ প্রদান করে মোট টাকা অবসরে যাওয়া ব্যাক্তি কে প্রদান করত।

নতুন সরকারি চাকরিজীবীরা আর পেনশন পাবেন না!

রাষ্ট্রায়ত্ত, স্বশাসিত, সংবিধিবদ্ধ, স্বায়ত্বশাসিত বা তাদের অঙ্গ প্রতিষ্ঠানগুলো মিলে বাংলাদেশে প্রায় ৪০০ টি সংস্থা আছে। এগুলোর অধীনে কর্মকর্তা-কর্মচারী আছে ৪ লাখেরও বেশি। পরবর্তীতে এই সকল প্রতিষ্ঠানে যারা যোগদান করবেন তারা সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতাভুক্ত হবেন।

গত বছরের ১৭ আগস্ট মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সর্বজনীন পেনশন স্কিম উদ্বোধন করেন। বর্তমানে ৪ টি আলাদা আলাদা পেনশন স্কিমে সাধারণ জনগণ অংশগ্রহণ করতে পারে। স্কিম চারটি হল প্রগতি, সুরক্ষা, প্রবাস এবং সমতা।

  • প্রগতি স্কিমটি তৈরি করা হয়েছে মূলত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিজীবীদের জন্য।
  • স্বল্প আয় ও দরিদ্র সীমার নিচে বসবাসকারী মানুষদের জন্য তৈরি করা হয়েছে সমতা পেনশন স্কিম।
  • যে সকল বাংলাদেশিরা বিদেশে কাজ করেন তাদের জন্য তৈরি করা হয়েছে প্রবাস পেনশন স্কিম।
  • সমাজের খেটে খাওয়া মানুষ যেমন কৃষক, শ্রমিক, রিকশাচালক, কুমার, জেলে, তাঁতি ইত্যাদি পেশার মানুষদের জন্য তৈরি করা হয়েছে সুরক্ষা পেনশন স্কিম।

এ সকল সর্বজনীন পেনশন স্কিমে ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়স পর্যন্ত যে কোন বাংলাদেশী নাগরিক অংশগ্রহণ করতে পারবেন। আর পেনশন ভোগ করতে পারবেন ৬০ বছর বয়স থেকে। যাদের বয়স ৫০ বছরের বেশি তারা সর্বনিম্ন ১০ বছর চাঁদা দেওয়ার সাপেক্ষে পেনশন সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।

জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের থেকে জানা গেছে যে, সর্বজনীন পেনশন স্কিম কর্মসূচিকে আরও বেশি উজ্জীবিত করার লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তাই নতুন সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য “প্রত্যয়” নামের নতুন পেনশন স্কিম চালু করতে যাচ্ছে অর্থ মন্ত্রণালয়।” অর্থাৎ আগামীতে তারা সরকারি চাকরিতে যোগ দিবেন তারা প্রত্যয় পেনশন স্কিমের আওতাভুক্ত হবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

নতুন সরকারি চাকরিজীবীরা আর পেনশন পাবেন না!

আপডেট সময় : ০২:৩২:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ মার্চ ২০২৪

নতুন সরকারি চাকরিজীবীরা আগের মত আর পেনশন সুবিধা পাবে না। সম্প্রতি এমনটাই ঘোষণা দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ। চলতি বছরের পহেলা জুলাইয়ের পর থেকে যারা সরকারি চাকরিতে যোগদান করবেন তারা আর আগের মতন অবসরের পর পেনশন সুবিধা ভোগ করতে পারবেন না।

রাষ্ট্রায়ত্ত, স্বশাসিত, সংবিধিবদ্ধ, স্বায়ত্বশাসিত বা তাদের অঙ্গ প্রতিষ্ঠানে ২০২৪ সালের ১ জুলাইয়ের পর থেকে যারা যোগদান করবেন তাদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য।

কিন্তু তারা কি একেবারেই এই পেনশন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে?

অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, সকল সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারীরা এখন থেকে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতাভুক্ত হবেন। আমরা জানি বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্য সর্বজনীন পেনশন স্কিম সেবা চালু করেছে।

সরকারি কর্মচারীরা আগে সাধারণ ভবিষ্যৎ তহবিল (জিপিএফ) এবং প্রদেয় ভবিষ্যৎ তহবিল (সিপিএফ) এ টাকা জমা রাখত। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এই টাকার উপর ১১-১৩% পর্যন্ত সুদ প্রদান করে মোট টাকা অবসরে যাওয়া ব্যাক্তি কে প্রদান করত।

নতুন সরকারি চাকরিজীবীরা আর পেনশন পাবেন না!

রাষ্ট্রায়ত্ত, স্বশাসিত, সংবিধিবদ্ধ, স্বায়ত্বশাসিত বা তাদের অঙ্গ প্রতিষ্ঠানগুলো মিলে বাংলাদেশে প্রায় ৪০০ টি সংস্থা আছে। এগুলোর অধীনে কর্মকর্তা-কর্মচারী আছে ৪ লাখেরও বেশি। পরবর্তীতে এই সকল প্রতিষ্ঠানে যারা যোগদান করবেন তারা সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতাভুক্ত হবেন।

গত বছরের ১৭ আগস্ট মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সর্বজনীন পেনশন স্কিম উদ্বোধন করেন। বর্তমানে ৪ টি আলাদা আলাদা পেনশন স্কিমে সাধারণ জনগণ অংশগ্রহণ করতে পারে। স্কিম চারটি হল প্রগতি, সুরক্ষা, প্রবাস এবং সমতা।

  • প্রগতি স্কিমটি তৈরি করা হয়েছে মূলত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিজীবীদের জন্য।
  • স্বল্প আয় ও দরিদ্র সীমার নিচে বসবাসকারী মানুষদের জন্য তৈরি করা হয়েছে সমতা পেনশন স্কিম।
  • যে সকল বাংলাদেশিরা বিদেশে কাজ করেন তাদের জন্য তৈরি করা হয়েছে প্রবাস পেনশন স্কিম।
  • সমাজের খেটে খাওয়া মানুষ যেমন কৃষক, শ্রমিক, রিকশাচালক, কুমার, জেলে, তাঁতি ইত্যাদি পেশার মানুষদের জন্য তৈরি করা হয়েছে সুরক্ষা পেনশন স্কিম।

এ সকল সর্বজনীন পেনশন স্কিমে ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়স পর্যন্ত যে কোন বাংলাদেশী নাগরিক অংশগ্রহণ করতে পারবেন। আর পেনশন ভোগ করতে পারবেন ৬০ বছর বয়স থেকে। যাদের বয়স ৫০ বছরের বেশি তারা সর্বনিম্ন ১০ বছর চাঁদা দেওয়ার সাপেক্ষে পেনশন সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।

জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের থেকে জানা গেছে যে, সর্বজনীন পেনশন স্কিম কর্মসূচিকে আরও বেশি উজ্জীবিত করার লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তাই নতুন সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য “প্রত্যয়” নামের নতুন পেনশন স্কিম চালু করতে যাচ্ছে অর্থ মন্ত্রণালয়।” অর্থাৎ আগামীতে তারা সরকারি চাকরিতে যোগ দিবেন তারা প্রত্যয় পেনশন স্কিমের আওতাভুক্ত হবেন।