ঢাকা ১১:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জিম্মি জাহাজ উদ্ধারে আলোচনা শুরু!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:৩৮:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ ২০২৪
  • / ৬১ বার পড়া হয়েছে

জিম্মি জাহাজ উদ্ধারে আলোচনা শুরু!

সোমালিয়ার জলদস্যুরা বাংলাদেশের জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ দখল করে নেওয়ার আট দশ দিন পার হয়ে গেলেও কোন উদ্ধার কার্যক্রম হয়নি। কিন্তু আজ সোমালিয়ার জলদস্যুরা জাহাজের মালিকপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেছে। জাহাজের মালিক পক্ষের লোকজন এই খবর নিশ্চিত করেছে।

কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, জলদস্যুরা আমাদের সাথে যোগাযোগ করেছে। জাহাজ উদ্ধারের ব্যাপারে এখন আলোচনা করার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। উল্লেখ্য মিজানুল ইসলাম জাহাজের মালিক পক্ষের লোক।

বাংলাদেশের জাহাজ এমডি আব্দুল্লাহ ২৩ জন নাবিকসহ দখল করে নিয়েছিল সোমালিয়ান জলদস্যুরা। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ধারণা করছেন, জলদস্যুরা জাহাজ ও এই ২৩ জন নাবিকের বিনিময়ে মুক্তিপণ দাবি করতে পারে। সোমালিয়ান জলদস্যুদের সাথে মুক্তিপণের টাকার বিষয়টি পরিষ্কার হলে জাহাজসহ নাবিকদের মুক্তি মিলতে পারে।

জিম্মি জাহাজ উদ্ধারে আলোচনা শুরু!

বাংলাদেশ নাবিক সংগঠনের সভাপতি ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরী জানান, সোমালিয়ান জলদস্যুদের পক্ষ থেকে আগে যোগাযোগ করার বিষয়টি ইতিবাচক। মালিকপক্ষ ও তাদের সাথে আলোচনা করে একটি ভালো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যাবে বলে আশা করা যায়।

তিনি আরও বলেন, যেহেতু জাহাজটি পুরোপুরি জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রণে তাই কোনরকম অভিযান করা যাবে না। এতে করে জাহাজে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের ক্ষতি হতে পারে। তাই সমঝোতা বা চুক্তির মাধ্যমেই এগিয়ে যাওয়া উচিত।

গত ১২ মার্চ মঙ্গলবার ভারত মহাসাগরে বাংলাদেশের জাহাজটি ছিনতাই করে সোমালিয়ান জলদস্যুরা। তারপর সেটিকে সোমালিয়ার উপকূলের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়।

বাংলাদেশের জাহাজ এমবি আব্দুল্লাহ আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা দুবাইতে নিয়ে যাচ্ছিলো। কয়লা একটি দাহ্য পদার্থ বিধায় এ থেকে প্রচুর পরিমাণে মিথেন গ্যাস উৎপন্ন হয়। তাই দিন যত গড়াচ্ছে জাহাজে মিথেন গ্যাসের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় বিস্ফোরণের শঙ্কা তত বাড়ছে। সেজন্য যত দ্রুত সম্ভব জাহাজটি উদ্ধার করা প্রয়োজন।

এর আগেও একই কোম্পানির জাহাজ ছিনতাই করেছিলো জলদস্যুরা। তখন সে জাহাজটি উদ্ধার করতে ১০০ দিন সময় লেগেছিল। তাই পূর্ববর্তী অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এই জাহাজটি উদ্ধার করতে খুব বেশি সময় লাগবে না বলে জানিয়েছেন মালিকপক্ষের লোকেরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

জিম্মি জাহাজ উদ্ধারে আলোচনা শুরু!

আপডেট সময় : ০২:৩৮:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ ২০২৪

সোমালিয়ার জলদস্যুরা বাংলাদেশের জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ দখল করে নেওয়ার আট দশ দিন পার হয়ে গেলেও কোন উদ্ধার কার্যক্রম হয়নি। কিন্তু আজ সোমালিয়ার জলদস্যুরা জাহাজের মালিকপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেছে। জাহাজের মালিক পক্ষের লোকজন এই খবর নিশ্চিত করেছে।

কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, জলদস্যুরা আমাদের সাথে যোগাযোগ করেছে। জাহাজ উদ্ধারের ব্যাপারে এখন আলোচনা করার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। উল্লেখ্য মিজানুল ইসলাম জাহাজের মালিক পক্ষের লোক।

বাংলাদেশের জাহাজ এমডি আব্দুল্লাহ ২৩ জন নাবিকসহ দখল করে নিয়েছিল সোমালিয়ান জলদস্যুরা। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ধারণা করছেন, জলদস্যুরা জাহাজ ও এই ২৩ জন নাবিকের বিনিময়ে মুক্তিপণ দাবি করতে পারে। সোমালিয়ান জলদস্যুদের সাথে মুক্তিপণের টাকার বিষয়টি পরিষ্কার হলে জাহাজসহ নাবিকদের মুক্তি মিলতে পারে।

জিম্মি জাহাজ উদ্ধারে আলোচনা শুরু!

বাংলাদেশ নাবিক সংগঠনের সভাপতি ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরী জানান, সোমালিয়ান জলদস্যুদের পক্ষ থেকে আগে যোগাযোগ করার বিষয়টি ইতিবাচক। মালিকপক্ষ ও তাদের সাথে আলোচনা করে একটি ভালো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যাবে বলে আশা করা যায়।

তিনি আরও বলেন, যেহেতু জাহাজটি পুরোপুরি জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রণে তাই কোনরকম অভিযান করা যাবে না। এতে করে জাহাজে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের ক্ষতি হতে পারে। তাই সমঝোতা বা চুক্তির মাধ্যমেই এগিয়ে যাওয়া উচিত।

গত ১২ মার্চ মঙ্গলবার ভারত মহাসাগরে বাংলাদেশের জাহাজটি ছিনতাই করে সোমালিয়ান জলদস্যুরা। তারপর সেটিকে সোমালিয়ার উপকূলের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়।

বাংলাদেশের জাহাজ এমবি আব্দুল্লাহ আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা দুবাইতে নিয়ে যাচ্ছিলো। কয়লা একটি দাহ্য পদার্থ বিধায় এ থেকে প্রচুর পরিমাণে মিথেন গ্যাস উৎপন্ন হয়। তাই দিন যত গড়াচ্ছে জাহাজে মিথেন গ্যাসের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় বিস্ফোরণের শঙ্কা তত বাড়ছে। সেজন্য যত দ্রুত সম্ভব জাহাজটি উদ্ধার করা প্রয়োজন।

এর আগেও একই কোম্পানির জাহাজ ছিনতাই করেছিলো জলদস্যুরা। তখন সে জাহাজটি উদ্ধার করতে ১০০ দিন সময় লেগেছিল। তাই পূর্ববর্তী অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এই জাহাজটি উদ্ধার করতে খুব বেশি সময় লাগবে না বলে জানিয়েছেন মালিকপক্ষের লোকেরা।