ফেসবুকে হা হা রিয়্যাক্টকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ
- আপডেট সময় : ০৩:৩২:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ এপ্রিল ২০২৪
- / ৫৯ বার পড়া হয়েছে
কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরবে ফেসবুকে হা হা রিয়্যাক্টকে কেন্দ্র করে দু-পক্ষের মধ্যেও তুমুল সংঘর্ষ তৈরি হয়। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত ১ এপ্রিল রবিবার ভৈরবে এই ঘটনা ঘটে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, আবীর হোসেন, সৌরভ আহমেদ, হেদায়েতুল্লাহ, জিহাদ সরকার, আরিয়ান, নয়ন মিয়া, ফিরোজ আহমেদ এবং কামাল মিয়া। গ্রেফতারকৃত আসামিদের সরকারি কাজে বাধা প্রদানসহ আরো বেশ কিছু ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে স্থানান্তর করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানানো যায়, এর আগে সোমবার রাতে ভৈরব উপজেলার লোকাল বাসস্ট্যান্ডে মানিক মিয়া নামে এক লোকের দোকানে কর্মচারীর কাজ করতো আজীবর। তিনি কমলপুর মধ্যপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তার বাবার নাম আলাল মিয়া। আজীবর একই পাড়ার আরেকটি ছেলে ওমর মিয়ার ফেসবুকের একটি পোস্টে হা হা রিয়্যাক্ট দেয়। ওমর মিয়া মধ্যপাড়ার রউফ মিয়ার ছেলে।
ফেসবুকে এই হা হা রিয়্যাক্টকে কেন্দ্র করে দুইজনের মধ্যে ব্যাপক তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। তর্ক বিতর্ক করে পড়ে স্থানীয়রা দুজনকে মানিক মিয়ার দোকানে নিয়ে মিলমিশ করিয়ে দেন। কিন্তু তার ঠিক আধা ঘন্টা পরেই দুই পক্ষের লোকজন লাঠি সোটা ইট পাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
ফেসবুকে হা হা রিয়্যাক্টকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ
এই সংঘর্ষের মধ্যে কমলপুর মধ্যপাড়ার প্রায় দশটি দোকান ভাঙচুর করা হয়। তাদের এই সংঘর্ষ ফেরাতে গিয়ে স্থানীয় ৫ বাসিন্দা আহত হন। স্থানীয়রা বলেন, দুই কিশোর ছেলে ফেসবুকে হা হা রিয়্যাক্টকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। আমরা তাদের তাড়িয়ে দিয়েছি। কিন্তু তারা এখানকার বেশ কয়েকটি দোকানের শাটার কুপিয়ে নষ্ট করেছে।
স্থানীয় একটি লোক বলেন, আমি তখন চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলাম। হঠাৎ দেখি দুই পক্ষের কিছু কিশোর ছেলে দা, বল্লম এবং লাঠি সোঠা নিয়ে একে অপরের উপর আক্রমণ করছে। আমরা তাদের ফিরে যাওয়ার অনেক অনুরোধ এবং চেষ্টা করেছি। কিন্তু তারা আমাদের কোন কথাই শুনে নি। বেয়াদব ছেলেগুলো ২-৩ দিন পর পরই এমন ঝগড়ায় মেতে ওঠে।
জল্লাদ শাহজাহান বিয়ে
এ বিষয়ে ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, খুবই তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দ্রুতই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে করি। অবশ্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে আমাদের বেশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকাগুলি ছুঁড়তে হয়েছে। সেই সাথে ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আমরা এখন পর্যন্ত আটজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। মামলায় আটককৃতদের আমরা বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করেছি। এর পাশাপাশি ঘটনায় জড়িত আরো আসামীদের গ্রেফতার করার চেষ্টা অব্যাহত আছে।