চকবাজারে ভয়াবহ আগুন
- আপডেট সময় : ০৪:৩৫:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ মার্চ ২০২৪
- / ৫৬ বার পড়া হয়েছে
ঢাকার চকবাজারে একটি বিল্ডিং এ ভয়াবহ আগুন লাগান ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয়রা বলছেন বিল্ডিংটিতে জুতার কারখানা ছিল। তাই সেখানে দাহ্য পদার্থ থাকতে পারে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১৩ টি স্টেশন কাজ করছে। খুব কাছাকাছি আরো বিল্ডিং গুলোতে সেই আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। বড় কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও প্রায় ৪০/৫০ জন মানুষ দগ্ধ এবং আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসেছেন।
ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ জানায়, রাত ৩টা বেজে ৩৫ মিনিটে আগুন লাগার খবর শুনে তারা প্রথম ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তারপর থেকে চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি এখন মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে এই অগ্নিকাণ্ডের কারণ এখন পর্যন্ত কেউ জানাতে পারেনি। চকবাজার এলাকার স্থানীয় লোকজনও আগুন নিভাতে এগিয়ে আসছে। তারা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের পানি সরবরাহ করেছে।
আমরা জানি চকবাজার এলাকাতে বেশ ঘনবসতিপূর্ণ। তাই আগুন লাগার কারণে পুরো এলাকা ধোঁয়ায় আরো অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের লোকের পাশাপাশি সেখানে বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও র্যাবের সদস্যদেরও উপস্থিতিও দেখা গেছে।
চকবাজারে ভয়াবহ আগুন
এলাকাবাসীর জানায়, তারা রাতে হঠাৎ একটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান। তারা মনে করে এটি হয়তো গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণের শব্দ ছিল। সেখান থেকে হয়তো বা আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
চকবাজারের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধদের কয়েকজনের অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক। ঢাকা মেডিকেল কলেজের জরুরি বিভাগ ও বার্ন ইউনিটে তাদের চিকিৎসা সেবা চলছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রতিনিয়ত এই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। যার অনেকগুলোই সংঘটিত হয়েছে গ্যাস সিলিন্ডারের মাধ্যমে। তাই আমরা যারা বাসা বাড়ি বা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে গ্যাসের সিলিন্ডার ব্যবহার করি, তারা সর্বোচ্চ সতর্কতার সাথে ব্যবহার করব।
তাছাড়া প্রত্যেক বাসা বাড়িতে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র রাখা উচিত। সেগুলোর মেয়াদ আছে কিনা কিংবা সচল কিনা সেটিও নিয়মিত পরীক্ষা করা প্রয়োজন। তাহলেই চকবাজারের ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের মত ঘটনা থেকে বাঁচতে পারব ও ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে পারবো।