ঢাকা ১২:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বুয়েটে মধ্যেরাতে ছাত্রলীগের প্রবেশের প্রতিবাদে আন্দোলন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:১৩:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ মার্চ ২০২৪
  • / ৬০ বার পড়া হয়েছে

বুয়েট আন্দোলন

আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার পর থেকে বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ হয়। কিন্তু ২৭ মার্চ বুধবার দিবাগত রাতে ছাত্রলীগের বেশ কিছু শীর্ষ নেতা কর্মী বুয়েটের ক্যাম্পাসের ভেতর প্রবেশ করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ৫ দফা দাবি নিয়ে বুয়েটে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা।

শুধু আন্দোলনই নয়, গতকাল শুক্রবার বিকেলেও বুয়েটের শহীদ মিনার চত্বরে শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলন করে। তারা সংবাদ সম্মেলনে জানান, আগামী ৩০ ও ৩১ মার্চে টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। বুয়েট আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা এই পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে।

শিক্ষার্থীদের দাবি ও আন্দোলনের মুখে ইতিমধ্য বুয়েটের এক আবাসিক হলে ছাত্রলীগের এক নেতার আসন বাতিল করেছে প্রশাসন কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক বিষয়ে তদন্ত করার জন্য একটি কমিটি গঠনও করা হয়েছে। ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম ইমতিয়াজ রাব্বি। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অন্যান্য ছাত্রলীগ নেতাদের প্রবেশ করানোয় ওই শিক্ষার্থী ভূমিকা রাখেন বলে আন্দোলনকৃত শিক্ষার্থীদের দাবি।

বুয়েটে মধ্যেরাতে ছাত্রলীগের প্রবেশের প্রতিবাদে আন্দোলন

শিক্ষার্থীর আজ জানতে চেয়েছেন, ছাত্র রাজনীতি বুয়েট ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ। তারপরেও ছাত্রলীগের নেতারা মধ্যরাতে কিভাবে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে এবং মিটিং করে। বুয়েট কর্তৃপক্ষের কাছে এর ব্যাখ্যা চেয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

ছয় দফা দাবির প্রেক্ষিতে তারা আজ শনিবারও ক্লাস এবং পরীক্ষা বর্জন করে শহীদ মিনারের স্থানে অবস্থান নিয়েছেন। বুয়েটে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের মদদ ছাড়া কোন রাজনৈতিক সংগঠন ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারে না। এটি অবশ্যই প্রশাসন কর্তৃপক্ষের অবহেলার ফল। তাই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক ডক্টর মিজানুর রহমানের পদত্যাগ চেয়েছেন তারা। এরপর একে একে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরো সমস্যাগুলো তারা তুলে ধরেন। গণস্বাক্ষর কর্মসূচিও আয়োজন করে তারা। বুয়েট আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলে জানান।

২০১৯ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত বুয়েটে তেমন আন্দোলন কিংবা বিক্ষোভ সমাবেশ দেখা যায়নি। গত ২৭ শে মার্চ রাতে এই ঘটনার পর থেকে বুয়েট ক্যাম্পাস আন্দোলনে আবারও উত্তাল হয়ে পড়েছে। আজ আরও ৬ জনকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের আবেদন জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি বুয়েটে যেন কোনরকম ছাত্র রাজনীতি না হয় সেই ব্যবস্থাও গ্রহণ করতে হবে বলে দাবি জানিয়েছে। তা না হলে শিক্ষার্থীরা ক্লাস এবং পরীক্ষা বর্জন করে তাদের বিক্ষোভ এবং আন্দোলন চালিয়ে যেতে থাকবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বুয়েটে মধ্যেরাতে ছাত্রলীগের প্রবেশের প্রতিবাদে আন্দোলন

আপডেট সময় : ০৩:১৩:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ মার্চ ২০২৪

আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার পর থেকে বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ হয়। কিন্তু ২৭ মার্চ বুধবার দিবাগত রাতে ছাত্রলীগের বেশ কিছু শীর্ষ নেতা কর্মী বুয়েটের ক্যাম্পাসের ভেতর প্রবেশ করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ৫ দফা দাবি নিয়ে বুয়েটে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা।

শুধু আন্দোলনই নয়, গতকাল শুক্রবার বিকেলেও বুয়েটের শহীদ মিনার চত্বরে শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলন করে। তারা সংবাদ সম্মেলনে জানান, আগামী ৩০ ও ৩১ মার্চে টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। বুয়েট আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা এই পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে।

শিক্ষার্থীদের দাবি ও আন্দোলনের মুখে ইতিমধ্য বুয়েটের এক আবাসিক হলে ছাত্রলীগের এক নেতার আসন বাতিল করেছে প্রশাসন কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক বিষয়ে তদন্ত করার জন্য একটি কমিটি গঠনও করা হয়েছে। ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম ইমতিয়াজ রাব্বি। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অন্যান্য ছাত্রলীগ নেতাদের প্রবেশ করানোয় ওই শিক্ষার্থী ভূমিকা রাখেন বলে আন্দোলনকৃত শিক্ষার্থীদের দাবি।

বুয়েটে মধ্যেরাতে ছাত্রলীগের প্রবেশের প্রতিবাদে আন্দোলন

শিক্ষার্থীর আজ জানতে চেয়েছেন, ছাত্র রাজনীতি বুয়েট ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ। তারপরেও ছাত্রলীগের নেতারা মধ্যরাতে কিভাবে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে এবং মিটিং করে। বুয়েট কর্তৃপক্ষের কাছে এর ব্যাখ্যা চেয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

ছয় দফা দাবির প্রেক্ষিতে তারা আজ শনিবারও ক্লাস এবং পরীক্ষা বর্জন করে শহীদ মিনারের স্থানে অবস্থান নিয়েছেন। বুয়েটে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের মদদ ছাড়া কোন রাজনৈতিক সংগঠন ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারে না। এটি অবশ্যই প্রশাসন কর্তৃপক্ষের অবহেলার ফল। তাই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক ডক্টর মিজানুর রহমানের পদত্যাগ চেয়েছেন তারা। এরপর একে একে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরো সমস্যাগুলো তারা তুলে ধরেন। গণস্বাক্ষর কর্মসূচিও আয়োজন করে তারা। বুয়েট আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলে জানান।

২০১৯ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত বুয়েটে তেমন আন্দোলন কিংবা বিক্ষোভ সমাবেশ দেখা যায়নি। গত ২৭ শে মার্চ রাতে এই ঘটনার পর থেকে বুয়েট ক্যাম্পাস আন্দোলনে আবারও উত্তাল হয়ে পড়েছে। আজ আরও ৬ জনকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের আবেদন জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি বুয়েটে যেন কোনরকম ছাত্র রাজনীতি না হয় সেই ব্যবস্থাও গ্রহণ করতে হবে বলে দাবি জানিয়েছে। তা না হলে শিক্ষার্থীরা ক্লাস এবং পরীক্ষা বর্জন করে তাদের বিক্ষোভ এবং আন্দোলন চালিয়ে যেতে থাকবে।