ঢাকা ১০:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪, ১০ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রমজানে ইতিকাফের ফজিলত

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:১০:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
  • / ৪৪ বার পড়া হয়েছে

ইতিকাফের ফজিলত

চলছে পবিত্র মাহে রমজান। আর এই মাহে রমজানের বিশেষ একটি ইবাদত হচ্ছে ইতিকাফ পালন। ইতিকাফের ফজিলত অনেক। রমজানের শেষের ১০ দিন আল্লাহর ইবাদতের উদ্দেশ্যে নিয়তসহ মসজিদে অবস্থান করাকে মূলত ইতিকাফ বলে। এটি সুন্নতে মুয়াক্কাদা কিফায়া। একটি গ্রাম বা মহল্লায় সবার পক্ষ থেকে কয়েকজন ইতিকাফে বসলে সবার পক্ষ থেকে সেটি আদায় হয়ে যাবে। কিন্তু কেউই যদি ইতিকাফে না বসে তাহলে পুরো গ্রাম বা মহল্লার লোক গুনাগার হবে।

ইতিকাফের ফজিলত

আমাদের প্রিয় নবী রাসূল পাক (সা.) বলেছেন, ” আমি শবে কদরের রাতের সন্ধানে প্রথম ১০ দিন ইতিকাফ আদায় করলাম। তারপর রমজানের মধ্যবর্তী ১০ দিনও ইতিকাফ আদায় করলাম। এরপর ওহীর মাধ্যমে আমি জানলাম যে শবে কদর রমজানের শেষ দশ দিনের যেকোনো একদিন। তাই, তোমাদের মধ্য যে ইতিকাফ পছন্দ করবে, সে যেন ইতিকাফ পালন করে।

ইতিকাফের ফজিলত বর্ণনা করতে গিয়ে রাসূল (সা.) বলেন, “যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে একদিন ইতিকাফ পালন করবে, মহান আল্লাহ তায়ালা তার এবং জাহান্নামের মধ্য তিনটি গহবর সৃষ্টি করবেন। যাদের মধ্যবর্তী দূরত্ব আসমান ও জমিনের মধ্যবর্তী দূরত্বের চেয়েও বেশি।

ইতি কাফের ফজিলত সম্পর্কে আরও একটি হাদিসে রয়েছে, “যে ব্যক্তি পবিত্র রমজান মাসের শেষ ১০ দিন ইতিকাফ পালন করবে, তাকে দুটি হজ ও দুটি ওমরাহ পালন করার সওয়াব দান করা হবে। (শুআবুল ঈমান)

ইতিকাফ আরবি ভাষার শব্দ। এর অর্থ হলো অবস্থান করা বা আবদ্ধ রাখা। ইতিকাফ পালন করা অবস্থায় নিজ স্ত্রীদের সাথে মিশতে নিষেধ করা হয়েছে। তারা যদি এ সময় নিজেদের মধ্যে স্বামী স্ত্রীর সুলভ আচরণ করে তাহলে ইতিকাফ থেকে নষ্ট হয়ে যাবে।

দুনিয়ার সকল কাজকর্ম থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হবে। এ অবস্থায় বাইরে বের হওয়া যাবেনা। কারো সাথে দেখা হলে বা কেউ ভেতরে প্রবেশ করলে সাধারণ কথাবার্তা বলা যেতে পারে। প্রয়োজনীয় কথাবার্তা বলা যাবে। তবে অনর্থক ও অপ্রয়োজনীয় কথা বলে ইবাদতের পরিবেশ নষ্ট করা যাবে না।

পুরুষদের জন্য মসজিদে ইতিকাফ পালন করতে হয়। আর নারীরা তাদের নির্দিষ্ট ঘরে বা কক্ষে ইতিকাফ পালন করবে।

পৃথিবীর সকল স্থানের মধ্যে মসজিদ আল্লাহর নিকট সর্বাধিক প্রিয়। আর এই মসজিদে রমজান মাসের ১০ দিন ইবাদত করে কাটানোর ফজিলত বর্ণনা অনেক। তাই আমরা সবাই চেষ্টা করব গ্রাম বা মহল্লার পক্ষ থেকে নিজেরা মসজিদে এই শেষ ১০ দিন ইতিকাফ পালন করার। আপনারা হয়তো ইতিকাফের ফজিলত সম্পর্কে কিছুটা ধারনা পেয়েছেন। অন্যদেরকেও এ সম্পর্কে জানাতে আর্টিকেলটি শেয়ার করুন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

রমজানে ইতিকাফের ফজিলত

আপডেট সময় : ০৩:১০:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

চলছে পবিত্র মাহে রমজান। আর এই মাহে রমজানের বিশেষ একটি ইবাদত হচ্ছে ইতিকাফ পালন। ইতিকাফের ফজিলত অনেক। রমজানের শেষের ১০ দিন আল্লাহর ইবাদতের উদ্দেশ্যে নিয়তসহ মসজিদে অবস্থান করাকে মূলত ইতিকাফ বলে। এটি সুন্নতে মুয়াক্কাদা কিফায়া। একটি গ্রাম বা মহল্লায় সবার পক্ষ থেকে কয়েকজন ইতিকাফে বসলে সবার পক্ষ থেকে সেটি আদায় হয়ে যাবে। কিন্তু কেউই যদি ইতিকাফে না বসে তাহলে পুরো গ্রাম বা মহল্লার লোক গুনাগার হবে।

ইতিকাফের ফজিলত

আমাদের প্রিয় নবী রাসূল পাক (সা.) বলেছেন, ” আমি শবে কদরের রাতের সন্ধানে প্রথম ১০ দিন ইতিকাফ আদায় করলাম। তারপর রমজানের মধ্যবর্তী ১০ দিনও ইতিকাফ আদায় করলাম। এরপর ওহীর মাধ্যমে আমি জানলাম যে শবে কদর রমজানের শেষ দশ দিনের যেকোনো একদিন। তাই, তোমাদের মধ্য যে ইতিকাফ পছন্দ করবে, সে যেন ইতিকাফ পালন করে।

ইতিকাফের ফজিলত বর্ণনা করতে গিয়ে রাসূল (সা.) বলেন, “যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে একদিন ইতিকাফ পালন করবে, মহান আল্লাহ তায়ালা তার এবং জাহান্নামের মধ্য তিনটি গহবর সৃষ্টি করবেন। যাদের মধ্যবর্তী দূরত্ব আসমান ও জমিনের মধ্যবর্তী দূরত্বের চেয়েও বেশি।

ইতি কাফের ফজিলত সম্পর্কে আরও একটি হাদিসে রয়েছে, “যে ব্যক্তি পবিত্র রমজান মাসের শেষ ১০ দিন ইতিকাফ পালন করবে, তাকে দুটি হজ ও দুটি ওমরাহ পালন করার সওয়াব দান করা হবে। (শুআবুল ঈমান)

ইতিকাফ আরবি ভাষার শব্দ। এর অর্থ হলো অবস্থান করা বা আবদ্ধ রাখা। ইতিকাফ পালন করা অবস্থায় নিজ স্ত্রীদের সাথে মিশতে নিষেধ করা হয়েছে। তারা যদি এ সময় নিজেদের মধ্যে স্বামী স্ত্রীর সুলভ আচরণ করে তাহলে ইতিকাফ থেকে নষ্ট হয়ে যাবে।

দুনিয়ার সকল কাজকর্ম থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হবে। এ অবস্থায় বাইরে বের হওয়া যাবেনা। কারো সাথে দেখা হলে বা কেউ ভেতরে প্রবেশ করলে সাধারণ কথাবার্তা বলা যেতে পারে। প্রয়োজনীয় কথাবার্তা বলা যাবে। তবে অনর্থক ও অপ্রয়োজনীয় কথা বলে ইবাদতের পরিবেশ নষ্ট করা যাবে না।

পুরুষদের জন্য মসজিদে ইতিকাফ পালন করতে হয়। আর নারীরা তাদের নির্দিষ্ট ঘরে বা কক্ষে ইতিকাফ পালন করবে।

পৃথিবীর সকল স্থানের মধ্যে মসজিদ আল্লাহর নিকট সর্বাধিক প্রিয়। আর এই মসজিদে রমজান মাসের ১০ দিন ইবাদত করে কাটানোর ফজিলত বর্ণনা অনেক। তাই আমরা সবাই চেষ্টা করব গ্রাম বা মহল্লার পক্ষ থেকে নিজেরা মসজিদে এই শেষ ১০ দিন ইতিকাফ পালন করার। আপনারা হয়তো ইতিকাফের ফজিলত সম্পর্কে কিছুটা ধারনা পেয়েছেন। অন্যদেরকেও এ সম্পর্কে জানাতে আর্টিকেলটি শেয়ার করুন।