প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তুতি
- আপডেট সময় : ১০:২৪:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ মার্চ ২০২৪
- / ৪২ বার পড়া হয়েছে
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা চলতি বছরের নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি কোন সময়ে হতে পারে। তাই এখনো যথেষ্ট সময় আছে পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নেওয়ার। তো চলুন জেনে নেই এই কয়েক মাসে আপনি কিভাবে আপনার প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পারেন।
আমরা সবাই যে শুধুমাত্র বসে বসে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্রস্তুতি গ্রহণ করছি তা নয়। অনেকেই হয়তো জীবিকার তাগিদে কোনো পেশায় যুক্ত আছেন, অথবা মেয়েরা বাড়িঘর সামলানোর পাশাপাশি স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছেন। যেভাবেই থাকেন না কেন সঠিক কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করলে আপনার প্রস্তুতি আরো বেশী সহজ হতে পারে।
নিজে নিজে মডেল টেস্ট দেওয়া
প্রাথমিক পরীক্ষার জন্য নিজেকে সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত করার একটি বিশেষ উপায় হল বেশি বেশি মডেল টেস্ট দেওয়া। প্রাইমারি সহ অন্যান্য সরকারি চাকরির বিগত সালের প্রশ্নগুলো নিয়ে নিজে নিজেই মডেল টেস্ট দিতে পারেন। এতে করে আপনার নিজের প্রিপারেশন সম্পর্কে ভালো ধারণা হবে। কোন কোন বিষয়গুলো আরো জোর দিয়ে পড়তে হবে সেটি বুঝতে পারবেন।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তুতি
বিগত বছরের বিসিএস ও অন্যান্য চাকরির প্রশ্ন সমাধান করা
বিসিএস সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চাকরির প্রশ্নগুলো নিজে নিজে সমাধান করলে ভালো ফল পাবেন। এতে করে নিজের প্রতি কনফিডেন্স বাড়বে। কারণ বাসায় বসে বসে শুধু পড়া মুখস্ত করা আর পরীক্ষার হলে গিয়ে প্রশ্ন সমাধান করা দুটি ভিন্ন জিনিস।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি বারবার পড়ুন
বাংলা, ইংরেজি কিংবা গণিতের কিছু বিষয় আছে যেগুলো থেকে প্রতিবছরই প্রশ্ন আসে। সে বিষয়গুলো বারবার যাচাই করুন যাতে কোন ভাবেই পরীক্ষায় ভুল না হয়।
মোবাইল এবং ফেসবুক থেকে দূরে থাকুন
আমাদের সময় অপচয়ের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে মোবাইল, ফেসবুক ইত্যাদি সোশ্যাল মিডিয়া। এসব দেখতে দেখতে কখন যে সময় চলে যায় তা বোঝা যায় না। শুধুমাত্র প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নয় যেকোনো কাজে সফল হতে চাইলে এ সকল সময় নষ্টকারী মোবাইল কিংবা ফেসবুক থেকে পুরোপুরি বিরত থাকতে হবে। খুব বেশি প্রয়োজন না হলে ইন্টারনেটের ধারে কাছেও যাওয়া ঠিক না।
প্রাইমারি নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন হয় ১০০ নম্বরে। যার মধ্য ৮০ নম্বর এমসিকিউ পদ্ধতিতে এবং বাকি ২০ নম্বর ভাইভাতে।
প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য ১ নম্বর পাবেন এবং প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে। তাই পরীক্ষার হলে নিশ্চিন্ত না হয়ে কোন প্রশ্নের উত্তর দাগানো উচিত নয়।
পরীক্ষা সিলেবাস নিয়ে তেমন কিছুই বলবো না। কারণ সেটা সম্পর্কে অবশ্যই আপনার যথেষ্ট ধারণা রয়েছে। তাছাড়া শুধু সিলেবাস দেখে নির্দিষ্ট বিষয়গুলো পড়ে যাওয়াটা বোকামি ছাড়া আর কিছু নয়।
বিগত সালের প্রশ্নগুলো দেখলেই বুঝতে পারবেন কোন কোন টপিক্স থেকে প্রশ্ন আসতে পারে। তবে অনেকেই ইংরেজি সাহিত্যের প্রতি গুরুত্ব কম থাকে। কারণ ১/২ নম্বরের জন্য অনেক বেশি পড়া পড়তে হয়। কিন্তু এরকমটা করা কখনোই উচিত না।
আবার অনেকেই গণিতের শর্টকাট পদ্ধতি গুলো ব্যবহার করেন। যেগুলো মেধার উপর মারাত্মক খারাপ প্রভাব ফেলে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এ সকল শটকাট পদ্ধতি কাজে লাগে না অথবা ভুল উত্তর দেয়। তাই কষ্ট করে হলেও সঠিক পদ্ধতিতে গণিত করা শেখাটা বুদ্ধিমানের কাজ।
উপরিক্ত এই ছোট ছোট বিষয়গুলো মেনে চললেই আপনি প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় সফল হতে পারেন। তাই সময় নষ্ট না করে আজই লেগে পড়ুন পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য।