ঢাকা ০৯:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মামুনুল হকের জামিন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:০৬:১২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৩৬ বার পড়া হয়েছে

মামুনুল হকের জামিন!

হেফাজতে ইসলামে কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের জামিন মন্জুর হয়েছে। ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানায় করা ধর্ষণ মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। গত ৪ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে নারায়ণগঞ্জ আদালতে এই জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক নাজমুল হক শ্যামল। তবে জামিন মঞ্জুর হলেও তিনি কারাগার থেকে এই মুহূর্তে মুক্তি পাচ্ছেন না। কারণ তারা নামে আরো একাধিক মামলা রয়েছে।

মাওলানা মামুনুল হকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট একেএম ওমর ফারুক সাংবাদিকদের কে বলেন, মহামান্য আদালতের কাছে আমরা জামিনের পক্ষে যুক্তি তর্ক উপস্থাপন করেছে। সেই সাথে ধর্ষণের মেডিকেল রিপোর্ট দেখিয়েছি। মেডিকেল রিপোর্ট অনুযায়ী মামলার বাদি মামুনুল হকের সাথে স্বেচ্ছায় শারীরিক সম্পর্ক করেছে।

তাছাড়া ওই নারীর সাথে মামুনুল হকের বৈবাহিক সম্পর্কও রয়েছে। মামলাকারী মহিলার ছেলে আদালতে সাক্ষী দিয়েছে যে তার মায়ের সাথে মাওলানা মামুনুল হকের বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে। বাদী নিজেও স্বেচ্ছায় শারীরিক সম্পর্কের কথা রিপোর্টে উল্লেখ করেছে। উপরিক্ত প্রতিবেদন এবং বিষয়গুলো বিবেচনা করে মহামান্য আদালত জামিল মঞ্জুর করেছেন। তবে জামিনের শুনানের সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন না মাওলানা মামুনুল হক।

মামুনুল হকের জামিন

মাওলানা মামুনুল হক বিগত তিন বছর ধরে কারাগারে আটক আছেন। গতকাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন কোর্টে মামুনুল হকের জামিন হয়েছে। ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল তারিখে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার একটি রিসোর্টে মাওলানা মামুনুল হককে এক নারীর সাথে আটক করে স্থানীয়রা। তারপর সেখান থেকে মামুনুল হকের অনুসারীরা তাকে নিয়ে যায়। এর কিছুদিন পর ১৮ এপ্রিল ২০২১ তারিখে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপর ২০২১ সালের ৩ নভেম্বর পুলিশের পক্ষ থেকে মামার অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ এই যে রিসোর্টে আটককৃত মহিলাকে তিনি ধর্ষণ করেছেন। তবে মামলার বাদী মহিলাকে তিনি দ্বিতীয় স্ত্রী বলে দাবি করে আসছেন। এই মামলা ছাড়াও মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সব মিলিয়ে ৪১ টি মামলা রয়েছে।

মাওলানা মামুনুল হক গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকেই তার অনুসারীরা তাকে সহ অন্যান্য কারাবন্দী আলেমদের মুক্তির দাবি জানিয়ে আন্দোলন করে আসছে। এর আগে বেশ কয়েকবার তো দফায় দাফায় জাতীয় বাইতুল মোকাররম সামনে ও বিভিন্ন স্থানে আন্দোলন করে তারা। বেশ কয়েকবার জামিনের আবেদন নাকচ হয়েছে। শেষ পর্যন্ত সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে গতকাল ধর্ষণ মামলায় মমিনুল হকের জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মামুনুল হকের জামিন

আপডেট সময় : ০৫:০৬:১২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ এপ্রিল ২০২৪

হেফাজতে ইসলামে কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের জামিন মন্জুর হয়েছে। ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানায় করা ধর্ষণ মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। গত ৪ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে নারায়ণগঞ্জ আদালতে এই জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক নাজমুল হক শ্যামল। তবে জামিন মঞ্জুর হলেও তিনি কারাগার থেকে এই মুহূর্তে মুক্তি পাচ্ছেন না। কারণ তারা নামে আরো একাধিক মামলা রয়েছে।

মাওলানা মামুনুল হকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট একেএম ওমর ফারুক সাংবাদিকদের কে বলেন, মহামান্য আদালতের কাছে আমরা জামিনের পক্ষে যুক্তি তর্ক উপস্থাপন করেছে। সেই সাথে ধর্ষণের মেডিকেল রিপোর্ট দেখিয়েছি। মেডিকেল রিপোর্ট অনুযায়ী মামলার বাদি মামুনুল হকের সাথে স্বেচ্ছায় শারীরিক সম্পর্ক করেছে।

তাছাড়া ওই নারীর সাথে মামুনুল হকের বৈবাহিক সম্পর্কও রয়েছে। মামলাকারী মহিলার ছেলে আদালতে সাক্ষী দিয়েছে যে তার মায়ের সাথে মাওলানা মামুনুল হকের বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে। বাদী নিজেও স্বেচ্ছায় শারীরিক সম্পর্কের কথা রিপোর্টে উল্লেখ করেছে। উপরিক্ত প্রতিবেদন এবং বিষয়গুলো বিবেচনা করে মহামান্য আদালত জামিল মঞ্জুর করেছেন। তবে জামিনের শুনানের সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন না মাওলানা মামুনুল হক।

মামুনুল হকের জামিন

মাওলানা মামুনুল হক বিগত তিন বছর ধরে কারাগারে আটক আছেন। গতকাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন কোর্টে মামুনুল হকের জামিন হয়েছে। ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল তারিখে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার একটি রিসোর্টে মাওলানা মামুনুল হককে এক নারীর সাথে আটক করে স্থানীয়রা। তারপর সেখান থেকে মামুনুল হকের অনুসারীরা তাকে নিয়ে যায়। এর কিছুদিন পর ১৮ এপ্রিল ২০২১ তারিখে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপর ২০২১ সালের ৩ নভেম্বর পুলিশের পক্ষ থেকে মামার অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ এই যে রিসোর্টে আটককৃত মহিলাকে তিনি ধর্ষণ করেছেন। তবে মামলার বাদী মহিলাকে তিনি দ্বিতীয় স্ত্রী বলে দাবি করে আসছেন। এই মামলা ছাড়াও মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সব মিলিয়ে ৪১ টি মামলা রয়েছে।

মাওলানা মামুনুল হক গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকেই তার অনুসারীরা তাকে সহ অন্যান্য কারাবন্দী আলেমদের মুক্তির দাবি জানিয়ে আন্দোলন করে আসছে। এর আগে বেশ কয়েকবার তো দফায় দাফায় জাতীয় বাইতুল মোকাররম সামনে ও বিভিন্ন স্থানে আন্দোলন করে তারা। বেশ কয়েকবার জামিনের আবেদন নাকচ হয়েছে। শেষ পর্যন্ত সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে গতকাল ধর্ষণ মামলায় মমিনুল হকের জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত।